খুঁজুন
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লোকজ কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ‘ঘাইল ছিয়া’

হা‌নিফ পার‌ভেজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লোকজ কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ‘ঘাইল ছিয়া’

হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লোকজ কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ‘ঘাইল ছিয়া’

হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার)—

গ্রামীণ বাংলার এক সময়ের শত বছরের ঐতিহ্য ঘাইল-ছিয়া এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

সিলেট অঞ্চলে মসলা ও চাল কুটার কাঠে তৈরি এই বিশেষ জিনিসকে বলা হয় ঘাইল-ছিয়া। অঞ্চলভেদে এর নামের ভিন্নতা রয়েছে।

গ্রামে গ্রামে পিঠা তৈরি করতে চাউল গুঁড়ি (ভাঙানো) করার জন্য কাঠের তৈরি ঘাইল-ছিয়া নারী-পুরুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল।কালের বিবর্তনে ঘাইল-ছিয়া এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বাড়ির নারীরা মনের আনন্দে পিঠা খাওয়ার জন্য ঘাইলের মধ্যে চাউল রেখে দুই হাতে ছিয়া দিয়ে আঘাত করে করে চাউল গুঁড়ি করতেন।
এ কাজে কখনো কখনো দুইজন নারী দুটি ছিয়া দিয়ে তালে তালে ও গ্রামীণ লোকজ গানের সুরে সুরে চাউল কুটতেন (গুঁড়ি করতেন)।শুধু চাউলই কুটতেন না, কখনো কখনো বিশেষ প্রয়োজনে ধানও ভেঙে চাউল বের করতেনকিন্তু এ গ্রামীণ এ দৃশ্য অনেক এলাকা থেকে এখন বিলীন হয়ে গেছে।
কারও কারও কাছে ঘাইল-ছিয়া এখন শুধু স্মৃতি হয়ে রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় এখন আর ঘাইল ও ছিয়া খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

আগে শীতের পিঠাপুলি তৈরির প্রধান উপকরণ চাউলের গুঁড়ি প্রস্তুতের জন্য ঘাইল ও ছিয়াই ছিল একমাত্র ভরসা।

গ্রামের নারীরা ধান ভানা থেকে শুরু করে চাউলের গুঁড়ি কুটার কাজ করতেন এ ঘাইল-ছিয়া দিয়েই।

আবার কখনো কখনো নারীরা গ্রামীণ লোকজ গানের সুরে সুরে মনের আনন্দ উল্লাসে বাড়ির উঠানে অথবা খালি জায়গায় ঘাইল-ছিয়া দিয়ে চাউলের গুঁড়ি কুটতেন, ধানও ভাঙাতেন কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে গেছে গ্রামীণবাংলার সেই চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী কাঠের যন্ত্র ঘাইল-ছিয়া।

শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

আলা‌মিন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

আল-আমিন মিয়া, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়া জাল নোট ব্যবসার হোতা যুগেন্দ্র মল্লিককে দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমাণ জাল টাকা সহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার জুগেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে দীর্ঘদিন যাবত জাল নোটের ব্যবসায় জড়িত। দেশের নানা উৎস থেকে জাল নোট সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জাল নোট উদ্ধার ও এর সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, গত ২১ মে বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে যুগেন্দ্র মল্লিকের বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা’র নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
অভিযানে যুগেন্দ্র মল্লিকের ঘরের বিভিন্ন স্থানে জাল নোটের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি করতে থাকে পুলিশ। একপর্যায়ে তাঁর দেয়া তথ্যমতে বাড়ির গোয়াল ঘরের খড়ের নিচে দেশি-বিদেশি জাল নোট দেখতে পায় পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ২শত টাকার দেশি জাল নোট ও ৩ হাজার ৯শত ভারতীয় রুপি সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় যুগেন্দ্র মল্লিককে। গ্রেফতার যুগেন্দ্র মল্লিক ওই গ্রামের মৃত : দেবেন্দ্র মল্লিক এর ছেলে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সেখানে উদ্ধারকৃত জাল নোট প্রদর্শন ও গ্রেফতারকৃত যুগেন্দ্র মল্লিককে হাজির করা হয়।
উদ্ধারকৃত জাল নোটের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার টাকার নোট ১শত ৫৫ টি, ৫শত টাকার নোট ২শত টি, ২শত টাকার ১শত ১১ টি এবং ভারতীয় ৫শত টাকার ৫ টি ও ২শত টাকার ৭ টি নোট।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতার জুগেন্দ্র মল্লিক আসন্ন কুরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাটে ছাড়ার লক্ষ্যে সে জাল টাকাগুলো নিয়ে এসেছিল। তার বিরুদ্ধে এর আগেও জাল টাকার মামলা হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার জাল বাংলাদেশী নোট এবং ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় জাল রূপীসহ র‌্যাব গ্রেফতার করে।
এ দিকে গ্রেফতার জুগেন্দ্র মল্লিক এর বিরুদ্ধে বুধবারের জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সহযোগীদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশ ।
আল-আমিন মিয়া
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৫
০১৬৪৮-৭৫৫১১১

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

হা‌নিফ পার‌ভেজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

হানিফ পারভেজ
বড়লেখা, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত-বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করত। কিন্তু এখন উপজেলায় বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ফলে বিলুপ্তির পথে শিল্পটি।

এ কারণে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশ-বেতের তৈরি শিল্প আগের মতো আর চোখে পড়ে না। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঠিক সময়ে রোপণ, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বাঁশ ঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকা থেকে বাঁশ-বেত নির্ভর শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, একসময় গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশের তৈরি অনেক ধরনের হস্ত শিল্প বিক্রি হতো। যেমন কুলা, ডালা, টুকরি, ছাইন,,ডরি, মই, মাছ ধরার জোলঙ্গা, পলো এবং বিভিন্ন শৌখিন খেলনা সামগ্রী।

এ ছাড়াও এলাকায় কাঁচা ঘর তৈরিতে বাঁশের খুঁটি, বেড়া, ঘরের দরজা ইত্যাদি উপকরণও ব্যবহার হতো।

এ বিষয়ে বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতা তালিম পুর ইউনিয়নের আখালিমুরা গ্রামের লালমোহন বলেন, ‘আগে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র নিজেরা বাড়িতে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেছি, তখন লাভ হতো। কিন্তু এখন তেমন লাভ হয় না। রাত-দিন খেটে যা তৈরি করি হাটবাজারে সে তুলনায় বিক্রি নেই। সরকারি ভাবে কোনো সাহায্যে সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অনেক দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। অভাবের তাড়নায় গোত্রের অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। উপযুক্ত কাজ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা অন্য পেশায় যেতে পারিনি।’তিনি ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বাঁশ ও বেত শিল্পীরা সরকারী বা বেসরকারীভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং সুদমুক্ত ঋণ দিতে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।

বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। এক সময় পল্লিতে বাঁশ ও বেত ঝাড় থাকায় বাঁশের তৈরি শিল্পের প্রচুর ব্যবহার ছিল। কিন্তু আগের মতো এখন বাঁশ, ঝাড় আর বেত চোখে পড়ে না। এর দুষ্প্রাপ্যতার কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি কুটির শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিঃস্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী পরিবারগুলো।

আব্দুস শ‌হিদ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

আজ (২০মে ২০২৫‌খ্রি:) শ্রীমঙ্গল পৌর মিলনায়তনে পৃথক পৃথক কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্ধিত সভা।

উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ ফয়জুল করিম ময়ুন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আব্দুর রহিম রিপন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী। এতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজ উদ্দিন তাজু, আতাউর রহমান লাল হাজী, মহসিন মিয়া মধু, হাফিজুর রহমান তুহিন, মোঃ ইয়াকুব আলী, আতিকুর রহমান জরিপসহ আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

সভায় ৯টি ইউনিয়নে কর্মীসভা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং এ সংক্রান্ত একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।

১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ সুফি মিয়া তার ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী।

অন্যদিকে, পৌর বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ শামীম আহমদের সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিল্লাত হোসেন মিরাশদার। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আহ্বায়ক মোঃ ফয়জুল করিম ময়ুন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য সচিব মোঃ আব্দুর রহিম রিপন।

সভায় পৌর আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন এবং দ্রুত ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীসভা করে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন জেলা নেতৃবৃন্দ। কর্মীসভার তারিখ উল্লেখ করে একটি ক্যালেন্ডার ঘোষণা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।