খুঁজুন
রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২০ আশ্বিন, ১৪৩২

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৪ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

মৌলভীবাজার শহরে শাহ ফয়জুর রহমান ওরফে রুবেল (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় শমসেরনগর সড়কের সদাইপাতি এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেলের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি পরিবারসহ সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বর্ষিজোড়া গ্রামে বসবাস করতেন এবং এফ রহমান ট্রেডিংয়ের সত্ত্বাধিকারী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে প্রবেশ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবেলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ী ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক সিএনজি চালক জানান, চিৎকার শুনে তারা দৌড়ে গিয়ে রুবেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহতের শ্যালক ইমন তরফদার বলেন, রুবেল দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিলেন। কেন তাকে এভাবে হত্যা করা হলো তা এখনও পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পেলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান নাট্যজন মো: দেলোয়ার হোসেন। শুক্রবার (০৩ অক্টোবর ২০২৫) মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘গুণিজন সম্মাননা-২০২৩’ প্রদান করা হয়।

১৯৭৯ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের এক সস্ম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দেলোয়ার হোসেন। তাঁর পিতা মো: আব্দুল হেকিম ও মাতা হালিমা বেগম। শিক্ষা জীবনে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করে সিলেট মুরারি চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নাট্যচর্চায় সম্পৃক্ত হন। ১৯৯৪ সালে শ্রীমঙ্গলের কাকিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্য সংগঠন ‘বিজয়ী থিয়েটার’, বর্তমানে যার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, জেলা নাট্য পরিষদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।

একজন নাট্যকার, নির্দেশক ও সৃজনশীল নাট্য সংগঠক হিসেবে তিনি লিখেছেন ও মঞ্চস্থ করেছেন বেশ কিছু আলোচিত নাটক। এর মধ্যে রয়েছে— মহাজনের খেলা, তিনখান কথা, আশরাফুল মাখলুকাত, ঘটক সম্প্রদায়, একজন মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্ন, মায়ের সমাধি ও বধ্যভূমি ৭১ ইত্যাদি। এছাড়া পথনাটক ও লোকজ উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নাট্যচর্চায় সম্পৃক্ত করেছেন তিনি।

করোনাকালীন সময়ে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নাটক ও ক্রীড়া আয়োজন এবং শিশু উদ্যানের মুক্তমঞ্চ নির্মাণসহ তাঁর উদ্যোগ সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছরের মতো এবারও সম্মাননা প্রদান করে। এর মধ্যে নাট্যকলা বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালের গুণিজন সম্মাননা অর্জন করলেন বিজয়ী থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন দেলোয়ার হোসেন।

সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট অঞ্চলের ক্যান্সার রোগীদের জন্য এলো সুসংবাদ। সিলেটে গড়ে উঠছে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল। জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সঙ্গে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ক্যান্সার ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিসি সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, “সিলেটে ক্যান্সার চিকিৎসার তেমন সুযোগ-সুবিধা ছিল না। রোগীদের ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো। তবে খুব শিগগিরই সিলেটের মানুষ পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালের সুবিধা পাবেন।”

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ইউনিট চালু থাকলেও সেখানে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা ছিল না। এজন্য সিলেট বিভাগের প্রায় এক কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল।

ডিসি সারোয়ার আলম জানান, “ওসমানী মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটকেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতালে রূপান্তর করার কাজ চলছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই হাসপাতাল চালু হলে সিলেটের রোগীদের আর ঢাকায় বা বিদেশে ছুটতে হবে না। এখানেই তারা আধুনিক চিকিৎসা পাবেন

দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা দুর্গাপূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “পূজার শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা ছড়িয়ে দিয়ে উৎসবকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর পেছনে ছিল বাহিরের ইন্ধন। তবে দুষ্কৃতকারীরা কোনোভাবেই সফল হতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, এবছর সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে কোনো অঘটন ঘটেনি। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দুর্গাপূজা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিজু উৎসব ব্যাহত করতে পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় কিছু সন্ত্রাসী নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে প্রশাসনের সতর্কতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ইব্রাহিম এবং পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাদর পাল।