খুঁজুন
রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২০ আশ্বিন, ১৪৩২

আগামীতে বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুবকরা বিরোচিত ভূমিকা পালন করবে: ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ণ
আগামীতে বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুবকরা বিরোচিত ভূমিকা পালন করবে: ডা. শফিকুর রহমান

আগামীতে বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুবকরা বিরোচিত ভূমিকা পালন করবে: ডা. শফিকুর রহমান

হানিফ পারভেজ ,বড়লেখা,মৌলভীবাজার..

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশের কোনো নাগরিককে দাবি করে অধিকার আদায় করতে হবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে ঘরে গিয়ে অধিকার পৌঁছে দেওয়া হবে। গণতন্ত্র আর উন্নয়নের বুলি আউড়িয়ে এ দেশের মানবতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশের টাকা চুরি করে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখার সামনে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা জামায়াতের আমীর এমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাছিতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ রেদওয়ান আহমদ। সংগীত পরিবেশনা করেন বড়লেখা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে আবু সাঈদ নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। সে আমাদের অহংকার ও বীর। তরুণদের নেতৃত্বে এ দেশের পরবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোনো মানুষকে অধিকার আদায়ের জন্য দাবি তুলতে হবে না, যার যার ঘরে ঘরে তার প্রাপ্য অধিকার পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেনাবাহিনীকে জনগণের সাথে দেখতে চাই। আমরা কোনো দলের সাথে দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী কোনো দলের না। আবার সেনাবাহিনী কোনো দলের বিপক্ষেও না। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে পাহারায় নিয়োজিত। তারা আমাদের অহংকার। সেনাবাহিনী যতদিন পর্যন্ত এই জায়গায় থাকবে আল্লাহ তালা তাদের মর্যাদায় রাখবেন। আমরা দোয়া করি সেনাবাহিনীর এই মর্যাদা যেন আল্লাহ রক্ষা করেন।

তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যুবকদের স্যালুট জানাই। ধন্যবাদ জানাই। তোমাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবর্তন হয়েছে। তাই আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ চাই না। একটা সুশৃঙ্খল মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেন দেখে যেতে পারি। তোমাদের জন্য এই দেশ। যে দেশে মাথা উচু করে মর্যাদার সাথে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে তোমরা দাঁড়াতে পারবা। এমন একটি দেশ, এমন একটি বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। আমাদের বিশ্বাস যে যুবসমাজ বুক পেতে গুলি নিয়ে জাতীকে মুক্তির স্বাদ এনে দিয়েছে, আগামীতে বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুবকরা বিরোচিত ভূমিকা পালন করবে।

ডা. শফিকুর রহমান যুবকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তোমরা ভোট দিতে পারো নাই। এই যুবকরাই লড়াই করে আজকের এই সরকার গঠন করে দিয়েছে। এবার যেসব যুবকদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদের প্রত্যেকের ভোট যেন নিশ্চিত করা হয়। প্রবাসে অবস্থানরত ভাইবোনেরা সমানতালে লড়াই করেছে; তারা রেমিট্যান্স বন্ধ করে লড়াই করেছে, লেখালেখি করেছে। আমাদের প্রবাসীদের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করুন। তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন আর নাগরিকেত্বের প্রথম অধিকার তাদের ভোট দেবেন না-এটা আমরা মানব না। এবারের ভোটে সমস্ত প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই ভোট তারা যেন স্বচ্ছভাবে দেশে কিংবা বিদেশে বসে দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশের অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আইনজীবী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, জেলা মজলিশে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানা জামায়াতের আমীর শাহিন আহমদ খান, খেলাফত মজলিসের বড়লেখা উপজেলা সভাপতি কাজী মাওলানা এনামুল হক, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, মৌলভীবাজার জেলা শিবিরের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলার শহর শিবিরের সভাপতি তারেক আজিজ, বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মাহফুজ সুমন, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের শুরা সদস্য আলীম উদ্দিন, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের শুরা এবং কর্ম পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম সুহেল, বড়লেখা পৌরসভা জামায়াতের সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের শুরা এবং কর্ম পরিষদ সদস্য জুবায়ের আহমদ, উপজেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মোহাঃ আবু তাহের, বড়লেখা উপজেলা শহর শিবিরের সভাপতি হুমায়ূন কবির সাজু প্রমুখ।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে আমিরে জামায়াত বড়লেখা উপজেলায় ঈদের দিন কোরবানির গোস্ত বিতরণ করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের পিতা আলাউদ্দিন আলাী মিয়াকে সান্তনা দেন ও উপস্থিত সবাইকে নিয়ে তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন।

জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

জেলা শিল্পকলা একা‌ডে‌মির গুণিজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান দেলোয়ার হোসেন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পেলেন শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান নাট্যজন মো: দেলোয়ার হোসেন। শুক্রবার (০৩ অক্টোবর ২০২৫) মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘গুণিজন সম্মাননা-২০২৩’ প্রদান করা হয়।

১৯৭৯ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের এক সস্ম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দেলোয়ার হোসেন। তাঁর পিতা মো: আব্দুল হেকিম ও মাতা হালিমা বেগম। শিক্ষা জীবনে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করে সিলেট মুরারি চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নাট্যচর্চায় সম্পৃক্ত হন। ১৯৯৪ সালে শ্রীমঙ্গলের কাকিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্য সংগঠন ‘বিজয়ী থিয়েটার’, বর্তমানে যার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, জেলা নাট্য পরিষদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।

একজন নাট্যকার, নির্দেশক ও সৃজনশীল নাট্য সংগঠক হিসেবে তিনি লিখেছেন ও মঞ্চস্থ করেছেন বেশ কিছু আলোচিত নাটক। এর মধ্যে রয়েছে— মহাজনের খেলা, তিনখান কথা, আশরাফুল মাখলুকাত, ঘটক সম্প্রদায়, একজন মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্ন, মায়ের সমাধি ও বধ্যভূমি ৭১ ইত্যাদি। এছাড়া পথনাটক ও লোকজ উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নাট্যচর্চায় সম্পৃক্ত করেছেন তিনি।

করোনাকালীন সময়ে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নাটক ও ক্রীড়া আয়োজন এবং শিশু উদ্যানের মুক্তমঞ্চ নির্মাণসহ তাঁর উদ্যোগ সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছরের মতো এবারও সম্মাননা প্রদান করে। এর মধ্যে নাট্যকলা বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালের গুণিজন সম্মাননা অর্জন করলেন বিজয়ী থিয়েটারের সভাপতি নাট্যজন দেলোয়ার হোসেন।

সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল আসছে, তিন মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু: জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট অঞ্চলের ক্যান্সার রোগীদের জন্য এলো সুসংবাদ। সিলেটে গড়ে উঠছে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল। জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সঙ্গে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ক্যান্সার ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিসি সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, “সিলেটে ক্যান্সার চিকিৎসার তেমন সুযোগ-সুবিধা ছিল না। রোগীদের ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো। তবে খুব শিগগিরই সিলেটের মানুষ পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালের সুবিধা পাবেন।”

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ইউনিট চালু থাকলেও সেখানে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা ছিল না। এজন্য সিলেট বিভাগের প্রায় এক কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল।

ডিসি সারোয়ার আলম জানান, “ওসমানী মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটকেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতালে রূপান্তর করার কাজ চলছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই হাসপাতাল চালু হলে সিলেটের রোগীদের আর ঢাকায় বা বিদেশে ছুটতে হবে না। এখানেই তারা আধুনিক চিকিৎসা পাবেন

দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা দুর্গাপূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “পূজার শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা ছড়িয়ে দিয়ে উৎসবকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর পেছনে ছিল বাহিরের ইন্ধন। তবে দুষ্কৃতকারীরা কোনোভাবেই সফল হতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, এবছর সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে কোনো অঘটন ঘটেনি। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দুর্গাপূজা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিজু উৎসব ব্যাহত করতে পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় কিছু সন্ত্রাসী নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে প্রশাসনের সতর্কতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ইব্রাহিম এবং পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাদর পাল।