খুঁজুন
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আন নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশন অব ইউএসএ’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ
আন নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশন অব ইউএসএ’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

আন নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশন অব ইউএসএ’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

হানিফ পারভেজ, বড়লেখা থেকে—-

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কবিরা গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আন্নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশন অব ইউএসএ।

এ উপলক্ষে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) বিকাল ৪ টায় স্থানীয় কবিরা গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী ব্যবস্থাপক এস.এম. মানিকের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়ক নাট্যজন ও কবি মোঃ শহীদ-উল ইসলাম প্রিন্সের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইমাজিন ফাউন্ডেশন সিলেট এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুন্সী শরীফুল ইসলাম, বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাফুফের অন্তর্ভুক্ত রেফারী লুৎফুর রহমান এবং স্থানীয় সমাজকর্মী মোঃ দুলু মিয়া প্রমূখ।

পরে অতিথিবৃন্দরা কবিরা গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি গঠন

তপু
প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি গঠন

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি গঠন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ নম্বর এস-১২০৬৮) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার নবগঠিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনাব এম এ সালাম সম্পাদক হয়েছেন জনাব মোঃ আব্দুল কাদির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জনাব মিটন শর্ম্মা।

নতুন নেতৃত্বের এই কমিটি শিক্ষকদের অধিকার ও উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। শিক্ষক সমাজের দাবি-দাওয়া, অধিকার আদায় এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে এ কমিটি তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে জানা গেছে।

নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

আলা‌মিন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

শ্রীমঙ্গলে দেশীয় জাল নোট, ভারতীয় রুপিসহ আটক -০১

আল-আমিন মিয়া, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়া জাল নোট ব্যবসার হোতা যুগেন্দ্র মল্লিককে দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমাণ জাল টাকা সহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার জুগেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে দীর্ঘদিন যাবত জাল নোটের ব্যবসায় জড়িত। দেশের নানা উৎস থেকে জাল নোট সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জাল নোট উদ্ধার ও এর সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, গত ২১ মে বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে যুগেন্দ্র মল্লিকের বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা’র নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
অভিযানে যুগেন্দ্র মল্লিকের ঘরের বিভিন্ন স্থানে জাল নোটের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি করতে থাকে পুলিশ। একপর্যায়ে তাঁর দেয়া তথ্যমতে বাড়ির গোয়াল ঘরের খড়ের নিচে দেশি-বিদেশি জাল নোট দেখতে পায় পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ২শত টাকার দেশি জাল নোট ও ৩ হাজার ৯শত ভারতীয় রুপি সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় যুগেন্দ্র মল্লিককে। গ্রেফতার যুগেন্দ্র মল্লিক ওই গ্রামের মৃত : দেবেন্দ্র মল্লিক এর ছেলে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সেখানে উদ্ধারকৃত জাল নোট প্রদর্শন ও গ্রেফতারকৃত যুগেন্দ্র মল্লিককে হাজির করা হয়।
উদ্ধারকৃত জাল নোটের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার টাকার নোট ১শত ৫৫ টি, ৫শত টাকার নোট ২শত টি, ২শত টাকার ১শত ১১ টি এবং ভারতীয় ৫শত টাকার ৫ টি ও ২শত টাকার ৭ টি নোট।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতার জুগেন্দ্র মল্লিক আসন্ন কুরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাটে ছাড়ার লক্ষ্যে সে জাল টাকাগুলো নিয়ে এসেছিল। তার বিরুদ্ধে এর আগেও জাল টাকার মামলা হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার জাল বাংলাদেশী নোট এবং ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় জাল রূপীসহ র‌্যাব গ্রেফতার করে।
এ দিকে গ্রেফতার জুগেন্দ্র মল্লিক এর বিরুদ্ধে বুধবারের জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সহযোগীদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশ ।
আল-আমিন মিয়া
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৫
০১৬৪৮-৭৫৫১১১

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

হা‌নিফ পার‌ভেজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

বড়লেখায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প

হানিফ পারভেজ
বড়লেখা, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত-বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করত। কিন্তু এখন উপজেলায় বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ফলে বিলুপ্তির পথে শিল্পটি।

এ কারণে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশ-বেতের তৈরি শিল্প আগের মতো আর চোখে পড়ে না। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঠিক সময়ে রোপণ, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বাঁশ ঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকা থেকে বাঁশ-বেত নির্ভর শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, একসময় গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশের তৈরি অনেক ধরনের হস্ত শিল্প বিক্রি হতো। যেমন কুলা, ডালা, টুকরি, ছাইন,,ডরি, মই, মাছ ধরার জোলঙ্গা, পলো এবং বিভিন্ন শৌখিন খেলনা সামগ্রী।

এ ছাড়াও এলাকায় কাঁচা ঘর তৈরিতে বাঁশের খুঁটি, বেড়া, ঘরের দরজা ইত্যাদি উপকরণও ব্যবহার হতো।

এ বিষয়ে বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতা তালিম পুর ইউনিয়নের আখালিমুরা গ্রামের লালমোহন বলেন, ‘আগে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র নিজেরা বাড়িতে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেছি, তখন লাভ হতো। কিন্তু এখন তেমন লাভ হয় না। রাত-দিন খেটে যা তৈরি করি হাটবাজারে সে তুলনায় বিক্রি নেই। সরকারি ভাবে কোনো সাহায্যে সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অনেক দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। অভাবের তাড়নায় গোত্রের অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। উপযুক্ত কাজ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা অন্য পেশায় যেতে পারিনি।’তিনি ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বাঁশ ও বেত শিল্পীরা সরকারী বা বেসরকারীভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং সুদমুক্ত ঋণ দিতে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।

বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। এক সময় পল্লিতে বাঁশ ও বেত ঝাড় থাকায় বাঁশের তৈরি শিল্পের প্রচুর ব্যবহার ছিল। কিন্তু আগের মতো এখন বাঁশ, ঝাড় আর বেত চোখে পড়ে না। এর দুষ্প্রাপ্যতার কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি কুটির শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিঃস্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী পরিবারগুলো।