বড়লেখার ৯ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
হানিফ পারভেজ,বড়লেখা(মৌলভীবাজার)---
বড়লেখা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলা যুবদলের এসএম শরিফুল ইসলাম বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
আহ্বায়ক কমিটিগুলো হচ্ছে- বর্ণি ইউনিয়নের আহ্বায়ক রুহেল আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ; নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইউপি সদস্য এমরানুল হক বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ মজনু, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন; উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলিম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস শুক্কুর, সদস্য সচিব মারুফ আহমদ; দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আফজাল হোসেন চৌধুরী রিপন; বড়লেখা সদর ইউনিয়নের আহ্বায়ক আব্দুল লতিব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জামিল আহমদ, সদস্য সচিব আবু হানিফ জাকারিয়া; তালিমপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম আইজুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ, সদস্য সচিব শাহিন আহমদ; দক্ষিণ ভাগ উত্তর (কাঠালতলী) ইউনিয়নের আহ্বায়ক আব্দুল মুকিত ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন রুবুল, সদস্য সচিব শাহ্ আলম; সুজানগর ইউনিয়নের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন সেবুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর হোসেন, সদস্য সচিব রুবেল আহমদ; দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী দুলাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব ইউপি সদস্য আমিনুল হক।
ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ও প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। এটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এবং ১৯৯৬ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১,২৫০ হেক্টর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই উদ্যানটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের চারপাশে রয়েছে সবুজে ঘেরা পাহাড়ি বন। বড় বড় গাছপালা, বাঁশঝাড়, লতা-গুল্ম এবং ঝরনাধারা মিলে উদ্যানটি এক অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। ঘন সবুজ বনের ভিতর দিয়ে পায়ে হাঁটার সরু রাস্তা পর্যটকদের মনোরম অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা এই বন মনে হয় এক স্বপ্নময় রাজ্য।
জীববৈচিত্র্য:
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানটি বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে ২৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ৬ প্রজাতির উভচর এবং ২০ প্রজাতির সরীসৃপ। উল্লুক, চশমাপরা হনুমান, মাকাক বানর, কাঠবিড়ালীসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। এছাড়া হরিয়াল, ময়না, কাঠঠোকরা, শ্যামা, বুলবুলি সহ বিভিন্ন রকমের পাখির কাকলি বনটিকে আরও জীবন্ত করে তোলে।
পর্যটন ও ভ্রমণ:
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। এখানে ভ্রমণপিপাসুরা গাইডের সাহায্যে বনের বিভিন্ন ট্রেইল ঘুরে দেখতে পারেন। স্থানীয় আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও জীবনধারার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগও রয়েছে। ট্রেনলাইন দিয়ে ছুটে চলা ট্রেন, সবুজ বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটা, পাখিদের গান—এসব মিলে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ:
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বনের ভিতর দিয়ে ট্রেনলাইন চলে যাওয়া, পর্যটকদের অসচেতনতা, অবৈধ বন উজাড় ইত্যাদি কারণে উদ্যানের প্রাণী ও পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব সমস্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এবং পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
উপসংহার:
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান শুধুমাত্র একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের একটি অনন্য নিদর্শন। এই উদ্যানের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রকৃতির অপার মহিমা অনুভব করতে হলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান একবার হলেও ভ্রমণ করা উচিত।